২৪ ঘন্টার মধ‍্যে ভোলবদল : দুই পদত‍্যাগী প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ফের দলে ফিরলেন

19th December 2020 3:03 pm বাঁকুড়া
২৪ ঘন্টার মধ‍্যে ভোলবদল : দুই পদত‍্যাগী প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর ফের দলে ফিরলেন


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) :  মাত্র ২৪ ঘন্টার মধ্যেই ভোলবদল। শুক্রবার লিখিতভাবে 'দলত্যাগে'র কথা ঘোষণার পর শনিবার ফের তৃণমূলেই ফিরলেন বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুর পৌরসভার দুই প্রাক্তন কাউন্সিলর।

প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঐ পৌরসভার তিন দশকেরও বেশী সময়কার পৌরপ্রধান, বর্ষীয়ান তৃণমূল নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন বস্ত্র মন্ত্রী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় রীতিমতো সাংবাদিক সম্মেলন ডেকে তৃণমূল ছাড়ার পাশাপাশি 'জয় শ্রীরাম' ধ্বণী দিয়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন। ঠিক তার ১২ ঘন্টার মধ্যেই সদ্য প্রাক্তন উপপৌরপ্রধান সহ ১২ কাউন্সিলর তৃণমূল থেকে ইস্তফা দিতে চেয়ে দলের জেলা সভাপতিকে চিঠি দেন। ঐ তালিকাতে ছিলেন যথাক্রমে সাত ও আট নম্বর ওয়ার্ডের সিদ্ধেশ্বর ধীবর ও মমতা কুণ্ডু। শনিবার তারা ফের তৃণমূলেই ফিরে এলেন। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শুভাশীষ বটব্যালের উপস্থিতিতে তারা এই ঘোষণা করেন। এমন দাবিই তৃণমূল সূত্রে।

প্রাক্তন কাউন্সিলর সিদ্ধেশ্বর ধীবরের এদিন দাবি করেন, আমাকে 'ভুল বুঝিয়ে সই করানো হয়েছিল'। তিনি তৃণমূলেই আছেন ও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেই আছেন বলে জানান।

বিষ্ণুপুর পৌরসভার বর্তমান 'প্রশাসক' দিব্যেন্দু ব্যানার্জী বলেন, জার্সি বদলের রাজনীতিতে ওরা নেই, তৃণমূলের সঙ্গেই ওরা আছেন। আজ ওনারা সেকারণেই ছুটে এসেছেন বলে তিনি জানান।





Others News

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা

মল্লরাজ ভূমিতে তোপধ্বনিতে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ : পুজো ঘিরে উন্মাদনা


দেবব্রত মন্ডল ( বাঁকুড়া ) : তোপধ্বনি তে কেঁপে উঠল বিষ্ণুপুর । শুরু হল মল্ল রাজাদের ১০২৫ বছরের অষ্টমী পূজোর সন্ধিক্ষণ।

প্রাচীণ ঐতিহ্য ও পরম্পরা মেনে আজও নিষ্ঠাভরে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে দেবী দুর্গা 'মৃন্ময়ী নামে পূজিতা হন। জানা গিয়েছে, পূর্ব প্রথা মতোই প্রাচীণ রীতি মেনে মহাষ্টমীর সন্ধিক্ষণে কামান দাগার মধ্য দিয়ে বিষ্ণুপুর রাজ বাড়িতে শুরু হয়ে গেল 'বড় ঠাকরুনে'র পুজো। তবে এবার করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও দর্শক সাধারণের উপস্থিতি ছিল বাঁধভাঙ্গা। সরকারী নিয়মকে মান্যতা দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শুরু হয়েছে দেবী বন্দনা। এমনকি এখানে কামান দাগার পর্বেও অন্যান্য বছরের তুলনায় এ বছরে অল্প সংখ্যক লোককে নিয়ে ঐ কাজ সম্পূর্ণ করা হয়েছে।

শুরুর সময় থেকে অষ্টমীর সন্ধিক্ষণ ঘোষণা করা হয় বড় কামানের গর্জনের শব্দে। যার আওয়াজে রাজবাড়িতে আরতি নৃত্যও শুরু হয়ে যায়।